এল আর বাদল: বড় জয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) নবম আসরে যাত্রা শুরু করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সাত দলের বিপিএল। এদিন মিরপুর স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে একশ’র আগেই অলআউট করে মাশরাফী বিন মোর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ইনিংসে ভর করে সহজ জয় পেয়েছে তারা। সিলেট জিতে গেছে ৮ উইকেটে।

শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৯ রান করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে ১২.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করেছে সিলেট। রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে সিলেটের। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে ব্যক্তিগত ১ রানে বিদায় নেন কলিন অ্যাকারম্যান। এরপর ২১ বলে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির হাসান। তাকে শিকারে পরিণত করেন পুস্পাকুমারা। অন্য ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে ৪৩ রান করতে ৩টি চারের পাশাপাশি একটি ছয়ও হাঁকান তিনি। মুশফিক করেন ৬ রান।

এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেটের হয়ে মাত্র ১৪ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নেন রেজাউর রহমান রাজা। ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। মাশরাফী বিন মোর্তুজা ও কলিন অ্যাকারম্যান একটি করে উইকেট নেন।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সিলেটের বোলারদের তোপে পড়ে চট্টগ্রাম। ওপেনার মেহেদী মারুফ রান আউটের শিকার হলেও ডারউইশ রাসুলি ফেরেন মোহাম্মদ আমিরের বলে ক্যাচ দিয়ে। মারুফ ১৪ বলে ১১ আর ডারউইশ ৯ বলে ৩ রান করেন। শুরুর ধাক্কা সামলে না উঠতেই অধিনায়ক শুভাগত হোম সাজঘরে ফেরেন রেজাউর রহমান রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। ৭ বল মোকাবিলা করে তিনি করেন মাত্র ১ রান। দলীয় ৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে কলিন অ্যাকারম্যানকে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন আল-আমিন। ২০ বলে ১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ